কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরে আসা উচিত : পরিকল্পনামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ৫ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৮ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, ‘আমি কৃষকের সন্তান। আমিও নিজে কৃষক ছিলাম, আমার পাড়া-প্রতিবেশীরাও কৃষিক। তবে ধীরে ধীরে কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরে আসা উচিত। কারণ গ্রামের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামের বাড়ি ঘরের রূপ পরিবর্তন হয়েছে, ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা করছে। সবাই ভালো আছেন। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে সারের দাম বাড়ছে।’
আজ শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনে আসন্ন বাজেট উপলক্ষে ‘ক্ষুদ্র অর্থনীতি : প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কৃষি ভর্তুকি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কাও অর্গানিক কৃষিতে গিয়েছিল, তারা ফেল করেছে। তাই কৃষিকে সবসময় আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অপচয় রোধ করতে কাজ করছি। মাঝে মাঝে আয়েশি ভাব করেছিলাম। এটার রাশ টানতে হবে। ১ হাজার ৮০০ প্রকল্পের তালিকা আছে। এগুলোর গুরুত্ব অনুসারে সাজানো হবে। কোনটা আগে প্রয়োজন কোনটা পরে প্রয়োজন সেটা বের করতে হবে।’
প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে প্রণোদনা দেওয়া প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, ‘রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীরা দেশে খায় না, দেশে থাকেন না অথচ নিট আয় দেয়। তবে ঢালাওভাবে দুই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার পক্ষে আমি নেই। যারা মাসে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের প্রণোদনা দেওয়ার পক্ষে।’
যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকটি আয়োজন করে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএবি’র সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও ইআরএফ’র সভাপতি শারমীন রিনভী।
গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বিনায়ক সেন, মেট্রোপলিট্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।