উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হলের জন্য বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা-প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ১৮ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল নির্মাণে সরকার এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলচ্চিত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আজ ১৭ জানুয়ারি, রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ বিতরণী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র বাংলাদেশে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সবার যেন কল্যাণ হয় সেই লক্ষ নিয়েই চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট নীতিমালা করা হয়েছে।’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যেন দেশের বাইরেও যেতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের মান রক্ষা করে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে বন্ধ সিনেমা হলগুলো চালু ও আধুনিকায়ন করা হবে।’
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(বঙ্গবন্ধু) বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। ১৫ আগস্ট আমাদের জীবনটাকেই পালটে দিয়েছে। এরপর বাঙালির সংস্কৃতিটাই নষ্ট হতে বসেছিল। জাতীর পিতার অধরা কাজগুলো সম্পন্ন করাই আমাদের দায়িত্ব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই শিল্প নষ্ট হয়ে যাক তা আমরা চাই না। সিনেমাগুলো সেভাবেই তৈরি করতে হবে যেন পরিবার নিয়ে দেখা যায়। শিশুদের জন্যও সিনেমা তৈরি করতে হবে যেন তারা সিনেমা দেখে শিক্ষা নিয়ে জীবনকে প্রস্তুত করতে পারে।’
সকাল ১০টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯-এর আসর। এবার ২৬টি শাখায় শিল্পী, কলাকুশলী, প্রতিষ্ঠান ও চলচ্চিত্রকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অভিনয়শিল্পী মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও সুচন্দাকে দেয়া হয় যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হয়ে শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে পুরস্কার তুলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তহবিল শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ তহবিল চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী দিনই শুধু নয়, চলচ্চিত্র শিল্প একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে, আমাদের চলচ্চিত্র দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্ব বাজারেও একটি স্থান করে নিতে পারবে।’