দেশের ৪৫ শতাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ভালো - বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৯ এএম, ৩০ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২২ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার রয়েছে দেশে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো।
আজ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ কথাগুলো বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। নরডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত ফরেন ডাইকেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফর লজিস্টিক সেক্টর শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দিনব্যাপী এ সভার উদ্বোধনীতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করছে ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন অ্যাম্বাসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন। অনুষ্ঠানে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মার্কসের কান্ট্রি ম্যানেজার অংশুমান মুস্তাফি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারত এবং চীন দুটি বড় বাজার। বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। দেশে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে সহজেই অন্যদেশে রফতানি করা সম্ভব।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন শক্ত অর্থনৈতিক শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে রফতানি বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা গ্রহণ করেছে। শিল্প কল-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধার টেকসই উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। লজিস্টিক সেক্টর দেশের আমদানি ও রফতানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা বান্ধব টেকসই পরিবেশ সৃষ্টির জন্যও কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের জিডিপি অর্জন সন্তোষজনক ছিল। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। আমাদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে দেশব্যাপী কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন নরডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট তাহরিন আনাম, এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর উইনি ইস্ট্রুপ পেটারসেন, নরওয়ের অ্যাম্বাসেডর ইসপেন রিকটার-এসভেন্ডসেন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজেন্ড্রা বার্গ ভন লিনডি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লেস হুইটলি।