পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৯ পিএম, ১৪ মে,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
হাজার কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে চলে যাওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আজ শনিবার (১৪ মে) দুপুরে পি কে হালদারের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি ভারত থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির তিন বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই সংস্থা আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করে থাকে।
আজ পি কে হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পি কে হালদারকে অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অশোকনগরে তিনটি বড় ভবন রয়েছে সুকুমার মৃধার। এলাকাবাসী তাঁকে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চেনেন। তবে সুকুমার মৃধা বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠজন বলে ইডির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান।
অশোকনগরের স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, সুকুমার মৃধা বেশ কয়েক বছর ওই অঞ্চলে বসবাস করলেও সম্প্রতি তাঁকে সেখানে দেখা যায়নি। তিনি অশোকনগর ছাড়াও কলকাতা লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এমন অনেক জমিজমা কিনেছেন, যেগুলোর দাম ভবিষ্যতে বাড়বে। কলকাতা লাগোয়া দুটি নতুন বড় শহর রাজারহাট ও নিউটাউনের জমির দাম দ্রুত বাড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই ওই জেলায় এত জমিজমা কিনেছেন পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সুকুমার মৃধা। পুলিশের সূত্রটি জানায়, আজ অন্তত ১৫ জন সরকারি কর্মী ও কর্মকর্তাকে ওই অঞ্চলে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় সঞ্জীব হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও জানা গেছে। সঞ্জীব সম্পর্কে সুকুমার মৃধার মেয়ের স্বামী বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে শুধু উত্তর চব্বিশ পরগনায়ই নয়, কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও কলকাতায়ও এই দিন বিভিন্ন জায়গায় সুকুমার মৃধা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়ি–প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালান ইডির কর্মকর্তারা। তল্লাশির পর সব জায়গাতেই মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইডির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।