নতুন লোকোমোটিভগুলো ঈদযাত্রাকে আনন্দদায়ক করবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রেলসেবা সম্প্রসারিত করতে লোকবল বাড়াতে হবে। নতুন সংযুক্ত লোকোমোটিভগুলো ঈদযাত্রাকে আনন্দদায়ক করবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও রেলপথ স্থাপন করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের তৈরি দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ এবং ৩০টি মিটারগেজ ও ২৬টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ উদ্বোধন করে বক্তব্য দেন তিনি।
এর আগে সময় সংবাদকে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে এ উদ্যোগ।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’-এ ট্রেনের দুটি বগিকে রূপান্তরিত করা হয়েছে ডিজিটাল জাদুঘরে। ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকাল। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এটি।
আধুনিক প্রযুক্তি আর নান্দনিক কারুকাজে মোড়া এ কক্ষটি আসলে ট্রেনের একটি যাত্রীবাহী বগি। যাতে উন্নত প্রযুক্তি আর দৃষ্টিনন্দন কারুশৈলীতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ আর সংগ্রামী ইতিহাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর এ জাদুঘরে দেখা যাবে শৈশব থেকে শুরু করে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ভূমিকার ডিজিটাল শিল্পকর্ম।
দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাদুঘরে টাচ স্ক্রিন থাকছে সারি সারি। তাতে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসছে ছবি, ভাষণ ও জাতির জনকের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের প্রামাণ্যচিত্র। যেন মনিটরে চাপ দিলেই ভেসে উঠছে এক মহানায়কের জীবনের মহাকাব্য।
দেয়ালজুড়ে টাঙানো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ সব ছবি। আছে তার ব্যবহৃত চশমা, প্রিয় তামাক পাইপ আর মুজিব কোটের প্রতিরূপও। বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা চিঠি আর বইও শোভা পাচ্ছে যাদুঘরে।
দেশে-বিদেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণও আছে এতে। ১৯২০ থেকে ১৯৭৫-ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ের যেন জীবন্ত প্রামাণ্য দলিল এ জাদুঘর। দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোকজনের জন্য থাকবে উন্মুক্ত এটি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রান্তিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাথা ছড়িয়ে দিতে ভ্রাম্যমাণ এ জাদুঘরের সূচনা। তরুণদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
১৯২০ থেকে ১৯৭৫- বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শহীদ হওয়া আর এর মাঝের ঐতিহাসিক সংগ্রামী জীবন ইতিহাস ওঠে আসবে এ জাদুঘরের স্ক্রিনে স্ক্রিনে।