এনু-রুপনসহ ১১ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ক্যাসিনোকাণ্ডে সহোদর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা পাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন। ওই সময় বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় ওই দিন রায় ঘোষণা করা হয়নি।
গত ১৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন।
যুক্তিতর্কের সময় এনু, রুপন এবং এ মামলার অপর ৫ আসামির আইনজীবী আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেওয়া উচিত।
রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শেষ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করে। এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির পরিদর্শক সাদেক আলী আওয়ামী লীগের গেণ্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহসভাপতি এনু এবং যুগ্ম সম্পাদক রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন: তাদের ৩ ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান।
তাদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুলকে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ারী থানায় করা একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। একই মামলায় তুহিনকে গ্রেফতার করার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। শহিদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩-এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসান বাদী হয়ে এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়।