সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপি নেতা মকবুল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২২ এএম, ২৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২১ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নিউমার্কেটে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা মকবুলের গ্রেফতারে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি নেতা মকবুলকে। রাজনৈতিকভাবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না কিংবা কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই, ধৈর্য ধরতে হবে।এ ঘটনায় দুটো খুনের মামলা হয়েছে। ভাঙচুরের মামলা হয়েছে। এগুলোতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয় না। তাই প্রমাণের ব্যাপার আছে, তদন্তের ব্যাপার আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা কোনোদিনও ঘটনার সত্যতা না পেলে কাউকে গ্রেফতার করে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নিউমার্কেটে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষের সময় কারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কারা হেলমেট পরে চাপাতি, রামদা ইত্যাদি নিয়ে নাহিদ ও মুরসালিন নামের দুই নিরীহ তরুণকে খুন করেছে, সেই তথ্য ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে।
এতে দেখা যায়, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিবদমান চার গ্রুপের নেতা ও তাদের অনুসারীরা সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন।
নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় কুপিয়ে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী ইমনসহ কয়েকজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার ঢাকা কলেজে অভিযান চালিয়ে র্যাব ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এসময় অভিযানে ১০জন আটক করা হয়েছে বলে খবর।
ঢাকা কলেজের নর্থ হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রফিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, অভিযান শেষে দুটি মোবাইল সেট ও জহির হাসান জুয়েল নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। সবমিলিয়ে ১০ জনকে তুলে নিয়ে গেছে র্যাব ও ডিবি।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় বিএনপি নেতা মকবুলকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। মকবুল হোসেন সরদার নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী।