এলএনজি আমদানিতে ৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি : সংসদে নসরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ৪ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলাকে সরকারের অর্থ বিভাগ চার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বা অনুদান দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে এলএনজি আমদানি খাতে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলার সর্বমোট ভর্তুকি চাহিদার পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে পেট্রোবাংলার বকেয়া ভ্যাট/এআইটি বাবদ অন্তর্ভুক্ত ছিল ৭ হাজার ৩২১ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, শুধু এলএনজির মূল্য এবং এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন চার্জ বাবদ পেট্রোবাংলার ভর্তুকি চাহিদা ১৬ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, স্পট মার্কেট হতে আমদানি করা এলএনজির জন্য অর্থ সংস্থান অধিক প্রয়োজন হওয়ায় ভর্তুকির পরিমাণ বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেড়েছে। আমদানি করা এলএনজির মূল্য বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় এবং তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ২০২০ সালের মার্চের ২২ দশমিক ৫১ মার্কিন ডলার হতে বেড়ে ২০২২ সালের মার্চে প্রায় ১২০ মার্কিন ডলার উঠেছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে বেড়েছে এলএনজির দাম।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ১১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থর্মাল ইউনিট হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। স্পট মার্কেট থেকে সর্বশেষ ৩৬ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থর্মাল ইউনিট হিসেবে এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বর্তমানে বৈশ্বিক গ্যাস বিক্রির বাজার অত্যন্ত অস্থিতিশীল এবং ইউরোপের বাজারে গ্যাস ফিউচার ২০২১ সালের মার্চ মাস হতে ২০২২ সালের মার্চ মাস সময়কালে এক বছরে প্রায় ৪ দশমিক ৫ গুণ বেড়েছে।