রোহিঙ্গারা ফিরে না গেলে বাংলাদেশের জন্য বিপদ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪১ পিএম, ১১ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৬ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে এখন ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সোমবার রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এতটা অমানবিক নই যে, রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলে বসে থাকবো। অন্য কেউ কিন্তু তাদের নিতে আসেনি। আমরাই তাদের আশ্রয় দিয়েছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্তমান ক্যাম্পগুলো ক্ষণস্থায়ী। কুতুপালংয়ে পাহাড়ধস হয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। কাজেই আগামী মৌসুমে এমন ঘটনা আবারও ঘটার শঙ্কা রয়েছে। তাই ২২ থেকে ২৩ হাজার পরিবারকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে।
কুতুপালংয়ে কাজ করার সুযোগ ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনে মাছ ধরা, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। সেগুলো তারা ভাসানচরেও করতে পারবেন এবং এতে সন্ত্রাসবাদের সম্ভাবনা কম।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ভাসানচরে যেতে না চাওয়াতে এ প্রক্রিয়া অনেকটা দীর্ঘায়িত হয়েছে। কিন্তু আমরা রোহিঙ্গাদের ভালো চাই বলেই তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাড়ে তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফেরত যায়নি উল্লেখ করে দেশের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, তারা ফিরে যাবে বলে আমরা এখনো আশাবাদী। অন্যথায় বাংলাদেশের জন্য বিপদ। কারণ বেশিদিন থাকলে নানা রকম ষড়যন্ত্র হবে এবং এদের মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এটা উভয় দেশের জন্যই ক্ষতিকর।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রিজিয়ন কমান্ডার মো. ইফতেকুর রহমান, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নিজামি, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন প্রমুখ।