দুই ধরনের চাল বিক্রি করলেই ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ এএম, ১২ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
মিনিকেট ও নাজিরশাইল বলেই কোনো চাল নেই, তাই এসব নামে চাল বিক্রি করা অবৈধ বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজধানীতে জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্মেলনে শেষে তিনি কথা বলেন তারা।
তিনি বলেন, অন্য চালের চেয়ে শরীরটা চিকন, গায়ের রং অপেক্ষাকৃত ফর্সা, নাম মিনিকেট চাল। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত চালের একটি মিনিকেট। অথচ এ নামে কোনো ধানই নেই। একইভাবে বর্তমানে দেশে নাজিরশাইল ধানের আবাদ না থাকলেও বাজারে ভরপুর নাজিরশাইল চাল। তাহলে প্রশ্ন এ জাতের ধান না থাকলে চাল পাওয়া যায় কিভাবে?
এ সময় তিনি মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে চাল বিক্রির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, নতুন নতুন কোম্পানি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের প্যাকেট করে চড়া দামে বিক্রি করছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মুনাফার জন্যই বিভিন্ন কোম্পানি মোটা চাল কেটে সরু করে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে বিক্রি করছে ৮২ টাকা পর্যন্ত কেজিতে। এটি সরাসরি প্রতারণা।
সম্মেলনে বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এপিআরসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। চারদিনের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেশ কিছু করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের চতুর্থ দিন ও শেষ দিন। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এফএওর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে।