ইউক্রেন ইস্যুতে ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৭ এএম, ৬ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ওঠা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলো বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (৫ মার্চ) এমন অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। এ জন্যই তো আমরা জাতিসংঘে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোথাও অস্থিতিশীল হলে আমাদের অসুবিধা হয়। কোভিডের সময় দেখেছেন, কোথাও অস্থিতিশীল হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আঘাত পড়ে। কোনো দেশের অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে আমাদের ম্যানপাওয়ারের সমস্যা হয়।’
ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় বা পাশের দেশগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। তারা আমাদের সহায়তা করছে।’
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে কারা হামলা করেছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো তথ্য পেয়েছে কিনা, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কে জাহাজে বোমা মেরেছে আমরা জানি না। রাশিয়া দুঃখ প্রকাশ করেছে। আগুন আমাদের নাবিকরা নিভিয়েছে। খুব বড় ড্যামেজ হয়নি। যেহেতু নাবিকরা ভয় পাচ্ছেন সেহেতু আমরা তাদের উঠিয়ে নিয়ে আসছি।’
এর আগে, গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশ। ১৯৩ সদস্য দেশের পরিষদে ওই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে ১৪১ দেশ এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে রাশিয়াসহ পাঁচ দেশের।
এরও আগে গত মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের একাগ্রতার প্রতি সমর্থন জানান এবং সবপক্ষকে সংঘাত থেকে বিরত হওয়ার আহ্বান জানান। সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে জরুরিভিত্তিতে সংলাপে বসার হওয়ার আহ্বানও জানান বাংলাদেশের প্রতিনিধি।
একই সঙ্গে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তার নিরাপদ ও অবাধ প্রবেশাধিকারের সুযোগের নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশটি যারা ছাড়তে চায়, তাদের পথ নিরাপদ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।