মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আজ সবার সব পথ এসে মিলবে এক অভিন্ন গন্তব্যে। সেই গন্তব্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বাঙালি জাতিসত্তার ঐতিহ্যের মিনার। ভেদাভেদ ভুলে নারী, পুরুষ বসন্তে ফোটা ফুলের স্তবক হাতে নিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে যাবে মিনারের দিকে। কণ্ঠে থাকবে চির অম্লান সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি...’ ভাষা শহীদদের প্রতি অন্তরের অন্তস্থল থেকে নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে বর্ণিল হয়ে যাবে শহীদ মিনারের বেদি। তবে আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন একত্রে পাচঁ জনের বেশি শহীদ মিনারে ঢুকতে পারবে না। এবং সকলের টিকা সনদ থাকতে হবে। আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো একুশের বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আজ থেকে ৬৯ বছর আগে বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে ১৯৫২ সালের এ দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বারদের আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির। তাদের রক্তে শৃংখলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা- বাংলা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এ অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্বে। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ বাঙালির সঙ্গে সারা বিশ্বে দিনটি পালিত হচ্ছে।
একুশের প্রথম প্রহর থেকেই জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে। বরাবরের মতোই এবারও মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয় গতকাল রবিবার বিকালেই। রাজধানীর দোয়েল চত্বর, চানখাঁরপুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনারগামী পথগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসব পথে ঐতিহ্যবাহী আলপনা আঁকতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন চারুকলা অনুষদের নবীন শিল্পীরা। আজ সরকারি ছুটির দিন। দেশের সর্বত্রই আজ প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় শহীদদের স্মৃতির প্রতি। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
একুশে ফেব্ররুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই শহীদ মিনারে শুরু হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন। বুকে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ করে, খালি পায়ে আবাল-বৃদ্ধ সবাই শামিল হবেন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশের স্কুল-কলেজ, জেলা ও থানা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দেশের সর্বস্তরের মানুষ। একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। দুর্জয় সাহস জুগিয়েছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আজও সমহিমায় ভাস্বর। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিনম্র শ্রদ্ধায় বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারির সকল শহীদদের স্মরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন। গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বলা হয়, রক্তস্নাত ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার অভয়বার্তা। মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে বুক চিতিয়ে নেমে এসে পুলিশের গুলিকে পরোয়া না করে নিজের দাবিতে সোচ্চার থাকে। নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে তারা মাতৃভাষার মহিমা প্রতিষ্ঠায় যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম পর্যায়।
বায়ান্ন সালের ২১শের পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়ে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, আমরা পাই স্বাধীনতার স্বাদ। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সরকারি স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এদেশের ওপর নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল-এদেশকে স্থায়ীভাবে পরাধীন রাখার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তা প্রতিরোধ করে। দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এদেশের ওপর সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা সংস্কৃতির ওপর বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য। যাতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। আর এইজন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দুঃশাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে।
গণতন্ত্রকে আরও কঠিনভাবে লৌহ শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতেই মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে এদেশের বারবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুক্তির দিশারী বেগম খালেদা জিয়াকে। একদলীয় নির্দয় অপশাসনে উৎপীড়িত জনগণকে অন্ধকার খাঁচায় চিরদিনের জন্য আটকে রাখতে বাক, ব্যক্তি, লিখন, চিন্তার স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এই অপহরণকারীদের পরাজিত করতে হবে। অবিরাম সংগ্রামের মাধ্যমে দল, মত নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান কর্তব্য দেশনেত্রীর পূর্ণাঙ্গ মুক্তির জন্য সর্বব্যাপী সংগ্রাম গড়ে তোলা।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ ভাষা সৈনিকদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা। পাশাপাশি ভাষা সৈনিকদের জানাই শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন। তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাণী : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা-এই ঘোষণার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয়। বিশেষভাবে তৎকালীন পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ আকস্মিক ও অন্যায্য এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। ফলস্বরূপ বাংলা ভাষাকে সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব-বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটায় ছাত্ররা।
অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদগণ আমাদের প্রেরণার উৎস। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আত্মত্যাগের যে গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তার ফলাফল হয়েছে সুদূরপ্রসারী। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দৈশিক চেতনাকে শাণিত করেছিল মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে-যা খোলাখুলি কারচুপির এক ব্যতিক্রমী ন্যক্কারজনক নজির। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে এই দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় জনগণের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে প্রবল প্রতিহিংসা পূরণে। তার সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-একুশের চেতনার উত্তরাধিকারী হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও মৃতপ্রায় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে অতিশিগগির বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই ইনশাল্লাহ। শহীদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় সমৃদ্ধ সংস্কৃতিসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি :
১। ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন।
২। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় কালো ব্যাজ সহকারে বলাকা সিনেমা হলের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের জমায়েত এবং প্রভাতফেরী সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের মাজার জিয়ারত শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমূখে যাত্রা এবং শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন।
৩। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার বেলা ২টায় রাজধানীর রমনাস্থ ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও ভাষা সৈনিকবৃন্দ উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
সারাদেশে : ১। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সারাদেশে ইউনিট কার্যালয়গুলোতে সকাল ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং স্থানীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন।
২। ঐদিন দেশব্যাপী দলের বিভিন্ন ইউনিট স্থানীয় সুবিধানুযায়ী ভাষা শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা করবে।