আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী : রাষ্ট্রপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৬১ লাখ সদস্য দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারা দেশেই অর্থনীতির চালিকাশক্তি কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে আনসার সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বাহিনী যুব ও নারীদের বিভিন্ন পেশায় বিনামূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪২তম জাতীয় সমাবেশ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪২তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাহিনীর সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় অবদান। ভাষাশহীদ আব্দুল জব্বার ছিলেন এ বাহিনীর একজন প্লাটুন কমান্ডার। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার ছিল আনসার বাহিনীর ৪০ হাজার থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন আনসারের ১২ জন অকুতোভয় বীর সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ৬৭০ জন বীর সদস্য জীবন উৎসর্গ করেন। আমি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী বীর আনসার সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
আবদুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। আমি আশা করি, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ভবিষ্যতেও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বাক্ষর রাখবেন। আমি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪২তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত সব কার্যক্রমের সফলতা কামনা করছি।