মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্র : র্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৭ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
র্যাব সম্পর্কে বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। জাতিসংঘে পাঠানো চিঠিতে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দেখাতে পারেনি সংস্থাগুলো, এমনটাই বলছে র্যাব। অফিসিয়ালি চিঠি পেলেই দেয়া হবে জবাব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানোর ক্ষেত্রে সামনের সারিতে বাংলাদেশ। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন সংঘাতে জড়িত দেশগুলোতে শান্তি ফেরাতে বাংলাদেশের অবদান বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত। ২০২০ সালেও শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী পাঠানো হয়েছিল।
মিশন থেকে এলিট ফোর্স র্যাবকে বাদ দিতে গত বছরের ৮ নভেম্বর অ্যামনেস্টি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ১২টি মানবাধিকার সংস্থা চিঠি দেয় জাতিসংঘে। যদিও চলতি মাসের ২০ তারিখে চিঠিটি প্রকাশ করেছে একটি মানবাধিকার সংস্থা। তবে এখনো চিঠির বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি জাতিসংঘ।
র্যাব বলছে, তাদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বিচার দেয়া মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রুটিন ওয়ার্ক। অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে আনুষ্ঠানিক চিঠির অপেক্ষায় সংস্থাটি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই যে ১২টি সংস্থা তারা যে অভিযোগটি করেছে এটা অবশ্যই ভিত্তিহীন। পাশাপাশি জাতিসংঘও এ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখবে। এর প্রেক্ষিতে আমরা অফিসিয়ালি যখন কোনো চিঠি পাবো আমরাও একইভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠির জবাব দিব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার রক্ষার নামে এই ধরনের সংগঠনগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় নেমেছে। এর পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, এই মানবাধিকার নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। কেউ মুখোশ পরে বাণিজ্য করছে আবার কেউ খোলামেলা বাণিজ্য করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক উদ্দেশ্য। তার মানে আমরা বুঝতে পারছি আমাদের দেশের অধিকার, মানবাধিকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই বিষয়গুলো নিয়ে এক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেটি দেশে এবং বৈদেশিকভাবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে র্যাবের বর্তমান এবং সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। র্যাবের দাবি, সেখানেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেখাতে পারেনি দেশটি।