যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজনে তদবির করবে বাংলাদেশ - পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৮ এএম, ১৫ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাংলাদেশ তাদের ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে এটিকে আমরা তদবির বলি। যেখানে দরকার হবে, সেখানে আমরা তদবির চালাব।
মন্ত্রী বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে এবং স্বীকার করেছে যে, র্যাব সন্ত্রাস অনেকটা কমিয়েছে। তারা সেগুলো চিন্তা-ভাবনা করবে। তাদের যে লক্ষ্য, সন্ত্রাস কমানোসহ অন্যান্য কাজ, র্যাব সেগুলোই করছে এবং সফলভাবে করছে। এ কারণে র্যাব বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয়, সবাই এটা বুঝবে এবং তখন অবস্থার পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, আমরা আইনের দেশ। এ দেশের সৃষ্টিই হয়েছিল গণতান্ত্রিকভাবে। আমেরিকাও গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপূর্ণতা আছে। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক নিয়মে চলছি। এর মধ্যে যদি কোনো ধাক্কা আসে, আমরা সেটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।
এর আগে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) অডিটোরিয়ামে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, বিলিয়ার চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, বিলিয়ার আজীবন সদস্য মুহাম্মদ জামিরসহ অনেকে। এ সময় দেশের বাইরে থেকেও বিভিন্ন অতিথি অনলাইনে যুক্ত হন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।