ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে ৩ বছরের জেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৪ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদন্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে হবে। এই বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, যেসব পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট হচ্ছে ব্যাংকে, সেখানে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হতো। বর্তমান অবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কারণে এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে।
খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা এ খসড়া আইনে যুক্ত করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি এটার মধ্যে ইনভলভ না। ক্রিপ্টোকারেন্সি ইস নট এ কারেন্সি। ওটা কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদিত কোনো ট্রানজেকশন না। ডিজিটাল ব্যাংকিং ডাজ নট মিন ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটা খেয়াল রাখতে হবে। খসড়া আইনে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির কথা বলা হয়েছে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খসড়ায় ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের পদ থেকে অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেওয়া হবে, সেগুলো খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড দিতে পারবে। ধরুন কাউকে কোনো কারণে সাসপেন্ড করা হলো, তুমি লেনদেন করতে পারবে না, কিন্তু সে যদি আদেশ ভঙ্গ করে লেনদেন করে তাহলে তাকে এ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য বা দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক তিন বছরের কারাদন্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। খসড়া আইনটি নগদ, বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেও জানান তিনি। নতুন আইন করার কেন প্রয়োজন হয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পেমেন্টের যে ব্যবস্থাপনা, সেই বিষয়ে কোনো আইন ছিল না, বিধিমালার অধীনে করা হতো। এখান দেখা যাচ্ছে যে, এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধিবিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সেজন্য পুরো পদ্ধতিগুলোকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।