খ্রিষ্টীয় নববর্ষে বিএনপির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৫ এএম, ১ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
খ্রিষ্টীয় নববর্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বলা হয়, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্ববাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি সকলের অব্যাহত সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি। শুভ নববর্ষ।
১লা জানুয়ারি প্রতিবছর নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের দ্বারে উপস্থিত হয়। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নবউদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় নববর্ষ। পাশাপাশি অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তৎপর হতে পারলে নতুন বছরটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যময়। গেল বছরটি এখন আমাদের মনে জাগরুক হয়ে থাকবে। গত বছরের বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, সজন হারানোর বেদনা এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বছরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে আবার অন্যদিকে নতুন উদ্যোমে শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে তাগিদ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বময় সংঘাত আর অশান্তির ঘটনা প্রবাহে নতুন বছরটিকে গণতন্ত্র, শান্তি ও অগ্রগতির বছরে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে অজস্র রক্তঋণে অর্জিত গণতন্ত্র অপহরণ করা হয়েছে। গণবিরোধী শক্তি জনগণের সকল অধিকারকে বন্দি করে রেখেছে। এমতাবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত সংগ্রামে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। নতুন বছরটি হয়ে উঠুক আনন্দময়, আমি এ কামনা করি।
খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্ববাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
কালের আবর্তে আরো একটি বছর পেরিয়ে গেল। নানা ঘটনা দুর্ঘটনার কালের সাক্ষী হয়ে বছরটি বিদায় নিলো। গত বছরের সকল ব্যর্থতা ও হতাশার গ্লানিকে ঝেড়ে ফেলে এবং সাফল্যকে সঞ্চয় করে আগামী পথ চলার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অপহৃত গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার সংগ্রামে সকলকে নতুনভাবে ব্রতী হতে হবে।
আমাদের কর্মে নতুন বছরটি যাতে সাফল্য এবং সমৃদ্ধির বছরে পরিণত হয় সে লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন বছরটি সবার জীবনে বয়ে আনুক বিজয়, অনাবিল সুখ ও শান্তি, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। বন্ধ হোক হত্যা, গুম, খুন, যুদ্ধ বিগ্রহ ও অমানবিকতাসহ সকল ধরনের দমনমুলক নৃশংসতা- নববর্ষের শুরুতে আমি এ কামনা করছি। হৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করার