৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ল বড়পুকুরিয়ার ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্পে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ২৪ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৫ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষের ঠিক আগ মুহূর্তে সংশোধনীর মাধ্যমে ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় ও অতিরিক্ত দুই বছর মেয়াদ বাড়ল ‘বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন’ প্রকল্পের। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় ৩ হাজার ৩২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫২ কোটি ২৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আগামী বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশোধনীতে দুই বছর বাড়িয়ে করা হয়েছে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ও সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যর্থ হওয়ায় আবারও মেয়াদ ও অর্থ বাড়ানো হলো। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিদুৎ বিভাগের আওতাধীন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেড।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং ভারত (আদানী, ঝাড়খন্ড) থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ নির্ভরযোগ্যভাবে সঞ্চালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনের জন্য ঘ-২ কনটিনজেন্সি এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি লো-ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান করা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল। প্রকল্পটি টাঙ্গাইল, গাজীপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর জেলার ২৩টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- বড়পুকুরিয়া-বগুড়া ৪০০ কেভি মাত্রার ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি মাত্রার ১৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ (৯ কিলোমিটার রিভার ক্রসিংসহ) ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, কালিয়াকৈর ৪০০/২৩০ কেভি উপকেন্দ্রে ৪০০ কেভি মাত্রার ২টি এআইএস বে সম্প্রসারণ করা এবং পার্বতীপুর ২৩০ কেভি সুইচিং স্টেশনে ২৩০ কেভি মাত্রার ২টি এআইএস বে সম্প্রসারণ করা। প্রকল্পটি সংশোধনের কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এবং বে সম্প্রসারণ কার্যক্রম বিভিন্ন লটে বিভাজন করা হয়েছে। পরামর্শক সেবা খাতে অর্থায়নের উৎস, কাজের পরিধি পরিবর্তন ও ব্যয় হ্রাস করা, জনবলের বেতন-ভাতাদি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, পরিবহন, বিমা, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম এবং বৈদ্যুতিক স্থাপন খাতে ব্যয় হ্রাস, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও সার্ভে অঙ্গগুলোর ব্যয় বৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, কনটিনজেন্সি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশোধনের প্রয়োজন হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ নির্ভরযোগ্যভাবে সঞ্চালনের জন্য এ প্রকল্পটি গত একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ নির্ভরযোগ্যভাবে সঞ্চালনের জন্য প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জাতীয় গ্রিডে বিভিন্ন ক্ষমতার বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এবং উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বর্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাথে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ বলে জানান তিনি।