পূর্বাঞ্চলের ৪টি জেলার ৫টি ও পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার ১৫টি এলাকা চিহ্নিত
৯ মাসে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ২৯ জন আহত - রেলমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ এএম, ৪ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৯ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ১১০টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় রেলের ক্ষতির পাশাপাশি ২৯ জন আহত হয়েছেন।
আজ রবিবার দুপুরে সংবাদ রেলভবনের যমুনা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় বিভিন্ন ট্রেনের ১০৩টি জানালা ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন ২৯ জন। যে জায়গাগুলো থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হয় ইতিমধ্যে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের ৪টি জেলার ৫টি এলাকা। চিহ্নিত এলাকাগুলো হলো চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ এবং নরসিংদীর নরসিংদী, জিনারদী ও ঘোড়াশাল এলাকা। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার ১৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা আউটার, নাটোরের আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার কিসমত-রুহিয়া, পাবনার ভাঙ্গুরা রেলওয়ে স্টেশন, বগুড়ার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, সলপ রেলওয়ে স্টেশন, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন এবং খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, বলেন রেলমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এ উপমহাদেশে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর পর থেকে কোনো না কোনো জায়গায় দুষ্কৃতিকারীরা চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আসছে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এটি একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের হার বেড়েছে এবং ট্রেনের গার্ড, কর্মচারী ও যাত্রী আহত হয়েছেন। চোখ হারিয়েছেন এবং মারা গেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।