যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৩৭ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১১:২৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপিত হলো মহান বিজয় দিবস। জাতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মরণ করল জানা-অজানা সেইসব শহীদদের যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। একই সাথে কৃতজ্ঞভরে স্মরণ করল বেঁচে থাকা সব মুক্তিযোদ্ধাদেরও। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নানা বয়সী মানুষ। ফুল, পতাকা, বাহুবন্ধনী আর প্ল্যাকার্ড হাতে দেশের স্মৃতিসৌধগুলোতে এদিন ছুটেছেন আবালবৃদ্ধবনিতা। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত বিজয়ের আনন্দকে রোমন্থন করতে প্রতিবছর দেশজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে আমাদের বিজয় উৎসব। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় উৎসব। ব্যক্ত করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়।
বিজয়ের এ দিনে উৎসবমুখর ছিল সারা দেশ। পাড়া-মহল্লায় বেজেছে দেশাত্মবোধক গান। বিভিন্ন ভবনে তোলা হয় জাতীয় পতাকা। ঝাড়বাতি আর রঙবেরঙের পতাকায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ভবন, বাড়ি, সড়ক, সড়কদ্বীপ। শহীদদের আত্মার শান্তি, জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে সব ধর্মের উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানায় পরিবেশন করা হয় উন্নত মানের খাবার। নানা আয়োজনে ফুটিয়ে তোলা হয় বহু মানুষের আত্মত্যাগ।
ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব এসএম শামিম-উজ-জামান। ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটের দিকে সূর্যোদয়ের সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। পরে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময়ের জন্য নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দেশের মহান বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষেও শহীদ বেদিতে ফুল দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রধান বিচারপতি ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা : বিএনপির পক্ষ থেকে বুধবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয় দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এ সময় দেশ স্বাধীন হলেও গণতন্ত্রের মুক্তি মেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও আমাদের গণতন্ত্রের মুক্তি মেলেনি। সেই মুক্তির জন্যই আমরা সংগ্রাম করছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সভাপতি আলাল, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাদের সঙ্গে এ সময় ঢাকা জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের ব্যানারে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব দলের সিনিয়র নেতাসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে নিয়ে সকাল সাড়ে দশটায় টায় শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শহীদ নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, ৫শর ওপরে মানুষ গুম হয়ে গেছে, হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ তারা আজকে নিহত হয়েছে। আজকে দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে জনগনণ আজকের দিনে আবার নতুন করে শপথ গ্রহণ করছে যে, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা অবশ্যই দেশকে মুক্ত করবে, মানুষের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। তাই একটি নিরপেক্ষ সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শপথ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলো একাত্তর সালে সেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা তারা দেশ স্বাধীন করেছিলো। সেই দিন যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলো বাংলাদেশের মানুষ, সেই চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দীর্ঘ ১০ বছর তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এবং গণতন্ত্রকে ধবংস করে মানুষের যে মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, তার যে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা তাকে ধ্বংস করে দিয়ে আজকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার চেতনাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে। এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় একটি প্রতারনার রাজনীতি করেছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেছে কিন্তু কাজে তারা স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের কাছে নীতিনৈতিকতা নেই। তারা সবসময় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সবরকম অনৈতিক কার্যকলাপ করেছে। এখন সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে না বলেই তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে অপমান করে এবং গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না বলে তারা গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আজকে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটি ফ্যাসিবাদী স্বৈরতান্ত্রিক দল এবং সরকারে পরিণত হয়েছে। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুলসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু, আব্দুল আলিম নকী, আলহাজ¦ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, শামীম পারভেজ, সোহেল রহমান, ইকবাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, সহ- সাধারণ সম্পাদক সর্দার নুরুজ্জামান, সহ-দফতর আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের আবদুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মেহেদী হাসান পলাশ, এম জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, গুলশান থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, মোহাম্মাদপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েতুল হাফিজ, রামপুরা থানা বিএনপির সভাপতি হেল্লাল কবির হেলু, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, ৬৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিশনার প্রার্থী ইসমাইল ভূইয়া তুহিন, বংশাল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন, ডেমরা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসেম, জাসাসের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী, চিত্রনায়িকা শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, সহ-সভাপতি ও জাসাস ঢাকা মহানগরের আহবায়ক মীর সানাউল হক, সহ-সভাপতি কে এম খালেকুজ্জামান জুয়েল, ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট মোঃ আমিনুল হক, মোঃ ফেরদৌস ফকির, এড নাসিম আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, দ্বীন মোঃ মন্টু, এ বি এম সোহেল রশিদ, শরীফুল ইসলাম স্বপন, শাহানাজ পারভীন লিপি, শাহীনুর আবেদীন, হাবিবুর রহমান জসীম, ইঞ্জিঃ মোঃ মঞ্জু মিয়া, সহ- সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশরাফ শাহীন, জাবেদ আহমেদ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) মিজানুর রহমান, দফতর সম্পাদক শাহ মোঃ বিল্লাল হোসেন, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছামছুল হোসাইন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আল আমিন সরকার, সেমিনার বিষয়ক সম্পাদক বিলাল আহমদ চৌধুরী, আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক জুয়েল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ শফিকুল ইসলাম মিজান, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মান্নান বাবু, ক্রীড়া ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মিলনসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-এর স্মৃতিসৌধে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা : সূর্যোদয় ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া সকাল ৯টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন এবং সকাল সোয়া ১০টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলটি। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর নেতারা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান ও আবদুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা : সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুর সামাদ ডন ও আবদুল আউয়াল শামীমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফল-মিষ্টি : বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ফল এবং মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির শ্রদ্ধা নিবেদন : সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চ্যানেল আইয়ে ভার্চুয়াল ঐক্য ‘বিজয় মেলা’ : মহান বিজয় দিবসে চ্যানেল আই প্রতি বছরই দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করে। করোনার কারণে বিস্তৃত পরিসরে বিজয় মেলা না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ চ্যানেলটি ভার্চুয়াল বিজয় মেলার আয়োজনে করে। এ ছাড়াও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে শহীদ পরিবারের সন্তান ও যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা। শ্রদ্ধা জানিয়েছে গণফোরাম, যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বালাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ-৭১, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাকের পার্টি, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, অতীশ দীপঙ্কও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক সংঘ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল : নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বুধবার মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এ শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিজয় মিছিল বের করেন। এ সময় স্লোগান দিতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে স্লোগান দিতে বাধা দেয়া হয়। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে স্লোগানসহ বিজয় র্যালি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। খোরশেদ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের এই দিনের আমরা মুক্ত নই। আমরা স্লোগান দিতে পারি না বাধা আসে। এমন পরিস্থিতি স্বাধীন দেশে কাম্য নয়। গণতন্ত্রের মুক্তির প্রত্যাশায় এই দিনটি আমরা পালন করছি। তবে আমাদের কর্মসূচি পালনে পুলিশের বাধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহমুদ বকুল, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি রানা মজিব, রিটন দে, ইশলে উদ্দিন ঈশা, নাজমুল কবির নাহিদ, দফতর সম্পাদক শওকত খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদ রশিদুর রহমান রশো, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শরিফুল ইসলাম শিপলু, প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমেদ মনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলহাস, আলামিন খান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল প্রধান, আক্তারুজ্জামান, দুলাল মিয়া, মো. বাহার, মো. নূর আলম, ইব্রাহিম, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নওশাদ, সহ-সভাপতি পারভেজ খান, নজরুল ইসলাম, সদর থানা যুবদল নেতা রানা মুন্সি, মোঃ মুসা, মোঃ শহীদ, মোঃ মিঠু, মোঃ আল আমিন, মোঃ বাদশা, মোঃ সেলিম, মোঃ আফতাব, এম এম সাজাদ প্রমুখ।