বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন স্বরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রস্তাবটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল, আমরা মতামত দিয়ে দুপুরে এটি আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মতামতে কী বলা হয়েছে, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে, তারপর চূড়ান্ত হবে। এর আগে তো আমি কিছু বলতে পারব না।’ দুটি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত রয়েছে। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে- এ দুটি শর্তে তার দন্ড স্থগিত করা হয়। গত এপ্রিলে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার দন্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে গত সপ্তাহে তাঁর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদন্ড ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দন্ড স্থগিত করে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে গত বছরের ২৫ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।