ডেমু ট্রেন কেনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল - রেলমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৮ এএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
যে চারটিই বা চলছে সেগুলোরও রয়েছে ভয়াবহ যান্ত্রিক সমস্যা। সেবার পরিবর্তে ডেমু যেন রেলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির এ ট্রেনের ওয়ার্কশপ কিংবা যন্ত্রপাতি কিছুই নাই দেশে। এতে মেরামতও সম্ভব হচ্ছে না। ডেমু ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু সচল করার প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। ঢাকা বিভাগে চলাচলকারী ১২টি ডেমু ট্রেনের মধ্যে সচল আছে মাত্র দুটি। ভয়াবহ যান্ত্রিক সমস্যায় প্রতিদিনই বিকল হয়ে পড়ছে বিশেষ এই ট্রেন।
যাত্রীরা বলছেন, সেবার পরিবর্তে ডেমু যেন এক বিড়ম্বনার নাম। মাঝেমধ্যেই নানা সমস্যায় মাঝপথে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ছে। ভুক্তভোগী যাতায়াত করা যাত্রীরা জানান, গাজীপুর-বিআিইডিসি পর্যন্ত গিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে, আবার পেছনে ফিরে এসেছে। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে। আরেক যাত্রী বলেন, ডেমু ট্রেনটা পুরোপুরি অচল, এটিতে উঠলে মনে হয় দোজকে উঠেছি। অসম্ভব গরম লাগে, আমাদের দেশের জন্য এ ট্রেনটি উপযোগী নয়। রাজধানীর কমলাপুরে ডেমু ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা যায় অবহেলা অযত্নে বিকল হয়ে পড়ে আছে ১০টি ডেমু। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় জঙ্গলে ঢেকে গেছে ট্রেন। অধিকাংশেরই নষ্ট হয়ে গেছে ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের উন্নত সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ৬৪৫ কোটি টাকায় কেনা হয় ২০টি ডেমু। মেয়াদকাল ৩০ বছর হলেও মাত্র ৭ বছরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বেশির ভাগই।
ডেমু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ডেমুর ওয়ার্কশপ ও যন্ত্রপাতি না থাকায় মেরামত সম্ভব হচ্ছে না। ডেমু রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতাও নেই রেল কর্তৃপক্ষের। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১২টির মধ্যে মাত্র দুটি চলছে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু মেরামত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া এই ১০টি ট্রেন আমরা সচল করব। নিজস্ব প্রযুক্তিতে ডেমু ট্রেনের জন্য যে পার্সপাতি লাগে তা তৈরি করার সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে দুই হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়ে রেলের লোকসানের পাল্লাকে ডেমু আরও ভারী করছে বলে মত অনেক রেল কর্মকর্তার।