মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী আগামীকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২১ এএম, ১২ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ১১:২৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী আগামীকাল। এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সকল স্বৈরশাসকের অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা এবং দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক মজলুম জননেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর অবদান নিঃসন্দেহে স্মরণীয়। রাজনৈতিক জীবনে তিনি আজীবন শোষিতের পক্ষ নিয়ে শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন অক্লান্তভাবে। তিনি নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল সময় থেকেছেন আপসহীন নেতৃত্বের ভূমিকায়।
দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মরহুম আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা আমাদেরকে চিরদিন একটি শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভরশীল দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে প্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে। তার প্রদর্শিত পথ ধরে চলতে পারলেই একদলীয় স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোন কঠিন বাধাই আমাদের পথ আগলাতে সক্ষম হবে না।
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণীতে বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তার কন্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি। তিনি ছিলেন মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক আপসহীন যোদ্ধা। বর্তমানে আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চরম সংকটাপন্ন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রবিনাশী উৎপীড়ক শাসক গোষ্ঠী জনমতকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে। আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম তুর্যবাদক মওলানা ভাসানীর উদ্যম ও সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলেই গণতন্ত্র বিরোধী ফ্যাসিবাদী ও আগ্রাসী শক্তিকে আমরা রুখতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। আজকে এই দিনে আমি মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাই। তার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্র ও জনঅধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে কাক্সিক্ষত বিজয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই।