২১ কোটি ডোজ টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ এএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৫ এএম, ১৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২৪
কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ২১ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ বুধবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিব সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সভায় স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনা সম্পর্কিত যে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে, তা হলো টিকা পাওয়া নিয়ে ভালোভাবে আশ্বস্ত করা।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ক্রয় সংক্রান্ত সভায় ছয় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আজ আমাদের জানিয়েছে, বিভিন্ন উৎস থেকে ২১ কোটি চার লাখ ডোজের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে তিন কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা আমরা ক্রয় করেছি। দেশের মানুষকে দুই কোটি পাঁচ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। এখন এক কোটি চার লাখ হাতে আছে। ধাপে ধাপে সেগুলো দেয়া হচ্ছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সভায় খাদ্য সচিব প্রথমে খাদ্যের অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। খাদ্য এবং কৃষির সমন্বয় প্রয়োজন। যাতে কোনোভাবেই দেশে খাদ্যের ঘাটতি না হয়। সেটি কৃষি বিভাগ যাতে স্পষ্ট করে দেয়, চাহিদা অনুযায়ী আমাদের উৎপাদন কতটুকু। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে আমদানি করবে, আর উদ্বৃত্ত থাকলে তো তার প্রয়োজন নেই। সেজন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে বসে সেটি ঠিক করে ফেলতে হবে। যেহেতু অলরেডি বোরো ধান উঠে গেছে, গত বছর তিনবার বন্যা হয়েছে। যে কারণে গতবার আমন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার এখনো তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনো পানির স্তর গতবারের চেয়ে অনেক নিচে। সে কারণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, খাদ্য এবং কৃষি দুজনে বসে একসঙ্গে কাজ করবে। ইরি থেকে দুই থেকে তিনটি ভ্যারাইটি আসছে, সেগুলো প্রোডাকটিভিটি হাইব্রিডের কাছাকাছি, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষ সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ৪ জুলাই চার বছর পর সচিব সভা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই সভা স্থগিত করা হয়। চলতি বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর নতুন করে সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়।