ফের জামিন আবেদন নাকচ সাবেক এসপি বাবুল আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৮ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৯ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী কারারুদ্ধ সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন আবারও না মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১২ মে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এটি বাবুল আক্তারের দ্বিতীয় জামিন আবেদন।
আজ বুধবার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ হয়। এর আগে ১০ আগস্ট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জামিন আবেদন নাকচ করেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিনের জন্য মহানগর দায়রা আদালতে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে তা না মঞ্জুর করেছেন। আমরা তার জামিনের জন্য পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে মাহমুদা খানম মিতু তার ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় জিইসি মোড়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। মিতু হত্যার পর তার স্বামী পিবিআইতে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গত ১২ মে সেই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। একইদিন বুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মিতুর পিতা মোশারফ হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই তদন্তভার নেয় পিবিআই। পিবিআই ১২ মে বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৭ মে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য। কিন্তু বাবুল আক্তার আদালতে জবানবন্দি না দেওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে প্রথমে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন বাবুল আক্তার। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ২৯ মে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করে।মিতুর পিতা মোশারফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুলের সাত সহযোগী হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম কালু, সাইফুল ইসলাম শিকদার ও শাহজাহান মিয়া।
আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও খায়রুল ইসলাম কালুর কোনো হদিশ পায়নি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। সম্প্রতি সন্তোষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।