প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকায় গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২০ এএম, ১১ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ৮ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নসহ ১০ প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সড়ক ও সেতু সংশ্লিষ্ট তিন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে একনেকে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি নতুন প্রকল্প আর একটি সংশোধিত প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে- ৮৬১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্প (রংপুর জোন)’। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ‘বাগেরহাট-রামপাল-মংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। আর ‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মার্চ ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। ‘চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন, এলজিইডি অংশ)’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। গ্রামে টেলিটকের টাওয়ার সম্প্রসারণ করতে প্রকল্প নিয়েছে সরকার। ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকল্পটি অনুমোদনের পর চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। অন্যদিকে ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প- ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৫ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)। ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে ‘কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্প। উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নামের সংশোধিত প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এবার আরও ৫৯ কোটি ৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে শেষ হবার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে সংশোধিত প্রকল্পে তা জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। ১ হাজার ৫১১ কোটি ৭৯ ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সোলার পার্ক, জামালপুরে মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প নিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের থেকে আগস্ট ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করা হবে।