বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী কাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৫০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, কঠোর রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। তিনি তার নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। তার জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া এদেশের মুসলিম নারী সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচন্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল। বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়নে নারীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেছিলেন। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও প্রদর্শিত পথ ধরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারীদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে গেছেন। বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ দেশের নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। বেগম রোকেয়া এদেশের নারী জাগরণের এক কিংবদন্তিতুল্য পথিকৃৎ। তিনি নারী সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা বৈপ্লবিক। তিনি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিতে উপলব্ধি করেছিলেন যে, নারীর ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাবলম্বিতা গুরুত্বপূর্ণ। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীকে স্বায়ত্তশাসিত ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আর এজন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বে¡ও। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম নারীদেরকে চার দেয়ালের ভেতর থেকে বের করে এনে জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করেছিলেন। বেগম রোকেয়ার জীবন ও তার আদর্শ বাস্তবায়নেই এদেশের নারী সমাজকে আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল করতে প্রেরণা যোগাবে। বেগম রোকেয়ার প্রদর্শিত পথ ধরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষা, ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নারী জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। বেগম রোকেয়ার পথই আজকের নারী সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে। আজকে এই দিনে আমি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নারী সমাজকে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হওয়ার জন্য সকল নারীর প্রতি আহবান জানাই।