প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে পোস্ট, শুনানি পেছাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ এএম, ৯ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৩ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীকে তলব করে আপিল বিভাগ। আদালতের আদেশে আজ রবিবার আশরাফুল ইসলাম আপিল বিভাগে হাজির হন। এ বিষয়ে শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইমান আলীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ নতুন এ দিন ঠিক করেন। আদালতে আইনজীবী আশরাফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আওসাফুর রহমান ও মামুন মাহবুব। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত আগামী ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন। তবে এ সময় পর্যন্ত কোনো আদালতে শুনানি করতে পারবেন না আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম। এরইমধ্যে আইনজীবী আশরাফুল ইসলামের পাঁচটি ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। একটি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়ে করা স্ট্যাটাস ডিলিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। আদালতের নির্দেশে সকালই আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আপিল বিভাগে হাজির হন। এ সময় তিনি তার পক্ষে লিখিত ব্যাখ্যাও দাখিল করেছেন।
গত ১৫ জুলাই আইনজীবী আশরাফুলকে তলব করে ৮ আগস্ট আদালতে হাজির হতে বলা হয়। সেই সঙ্গে এ সংক্রান্ত পোস্ট অপসারণে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আপিল বিভাগ তখন এ আদেশ দেয়। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, মাই লর্ড একটি বিষয় আপনাদের নজরে আনতে চাই। আমাদের একজন বন্ধু ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়েছেন। পরে পোস্টটি আদালতকে পড়ে শোনান অ্যাটর্নি জেনারেল। শোনার পর আদালত পোস্টকারী আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে তলব করেন। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমি যত সিদ্ধান্ত নেই তা একা নেই না। সিনিয়র জাজদের সঙ্গে আলাপ করে নেই। গতবার প্রথম যখন কোর্ট খুলেছি তখন আমার সমালোচনা করেছে আইনজীবীরা। সেই কোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বারের সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে কোর্ট খোলা রেখেছি।
বিচারপতি ইমান আলী বলেন, এই বারের আইনজীবী হয়ে ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট ভেরি আন ফরচুনেট। বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, চিফ জাস্টিসের পদ কোনো পলিটিক্যাল পোস্ট নয়। যে তাকে নিয়ে এভাবে পোস্ট দেবে। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, চিফ জাস্টিস তো একটা প্রতিষ্ঠানের নাম। এভাবে পোস্ট দেয়া মানে প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনাস্থা।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এফবিতে এভাবে পোস্ট দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আইনজীবী হিসাবে কী বিষয়ে পোস্ট দেয়া যাবে বা যাবে না সেটা না জানলে ডিজিটাল আইনের মামলায় তিনি কিভাবে মক্কেলকে আইনি সহায়তা দেবেন।