চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে ১৬৪২ রোহিঙ্গা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৭ এএম, ৫ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৫৫ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে রাহিঙ্গাদের প্রথম দলটি।
আজ শুক্রবার (৪ঠা ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি ও সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা আছে এই যাত্রায় । গতকাল দুপুরেই তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম কে জামান শামীম জানান, নৌবাহিনীর ছয়টি এলসিইউতে ও সেনাবাহিনীর জাহাজ শক্তি সঞ্চারে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর জাহাজ শাহ মখদুম ও শাহ পরানে করে রোহিঙ্গাদের মালপত্র সকালেই ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কড়ানিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৩৯ টি বাস উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করে। ১ হাজার ৬৩৫ জন রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ রাতে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পতেঙ্গা বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ ও বোট ক্লাব এবং এর আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ট্রানজিট শিবিরে তাদের রাখা হয়। সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে অবকাঠামোসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। প্রথম দফায় যেসব রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে, তাদের জন্য খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ অন্তত এক মাসের রসদ দ্বীপটিতে মজুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয়। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের কাউকে জোর করে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে না। যারা সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, শুধু তাদেরই স্থানান্তর করা হচ্ছে।