দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৮ এএম, ২৫ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য মজুদের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। যারা মনে করেন সরকারের খাদ্যের মজুদ কমে গেছে তাদের ধারণা সঠিক নয়।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টীল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে তার সাথে সঙ্গতি রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্যগুদামসমূহ অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায় সে লক্ষ্যে স্টীল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। আরও ৫টি স্টীল সাইলো শিগগিরই নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, এ সকল সাইলোতে কীটনাষক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে যা ২ বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুণগতমান ও পুষ্টিমান অক্ষুণœ রাখবে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেয়া সম্ভব হবে। স্টীল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই ক্ষণগণনা শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজের গুণগতমানের সাথে কোনো সমঝোতা হবে না উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সময় মতো কোয়ালিটি কাজ নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র এডভাইজর সামিরা জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্র্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম উদ্দিন। পরে খাদ্য অধিদফতরের সাথে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদফতরের ৬৪ জেলায় ১২শ সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং সম্ভব হবে এবং একই সাথে অধিদফতরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। অধিদফতরের সাথে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ ও জিএসআই ইউএসআই জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির শর্তানুসারে তারা বরিশাল স্টীল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার এ সাইলো খাদ্যের মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও পুষ্টিমান বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।