সিলেটের শিশু সাঈদ হত্যায় ৩ আসামির মৃত্যুদন্ড হাইকোর্টে বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ এএম, ২৩ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৯ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
২০১৫ সালে সিলেট নগরীর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া তিন আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আসামিরা হলেন বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও খালাস চেয়ে করা আপিল খারিজ করে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, রাকিবের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সিদ্দিকুর রহমান।
২০১৫ সালের ১১ মার্চ সিলেট নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিন দিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্নারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা এবং ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম। নিহত আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়া বাজারের খশিলা এলাকায়। বিচার শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিন জনকে মৃত্যদন্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ। পরে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও খালাস চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে।