মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রির কার্যক্রমে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১০ এএম, ২৫ নভেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৩৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তর থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ
আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন।
‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শিরোনামে গত ৫ অক্টোবর গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জে আই খান পান্না এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে ১৫ নভেম্বর একটি রিট করা হয়। গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামছ্ উদ্দিন বাবুল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনাসহ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বিক্রি ও হস্তান্তরের কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই সব অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বা মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তরের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এ মর্মে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিরক্ষা সচিব, অর্থসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাণিজ্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে এমন আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সরকার বেচে দিতে চায়। সরকারের যুক্তি হচ্ছে এগুলো পুরনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর।