টাইব্রেকারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন ভিয়ারিয়াল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ২৭ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ ড্র, আর গোল হলো না অতিরিক্ত সময়েও। তারপর টাইব্রেকার। সেখানে রোমাঞ্চকর এক লড়াই শেষে ১১-১০ ব্যবধানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে দিল ভিয়ারিয়াল। প্রথমবারের মতো জিতল ইউরোপা লিগের ট্রফি।
শুধু ইউরোপাই নয়, যেকোনো ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টেই এটা ভিয়ারিয়ালের প্রথম শিরোপা। ইউরোপার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় লা লিগায় সপ্তম হয়েও এখন আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে ভিয়ারিয়াল। আর স্প্যানিশ ক্লাবটির এই স্বপ্নযাত্রার সবচেয়ে বড় নায়ক নিঃসন্দেহে কোচ উনাই এমেরি।
এর আগে উনাই এমেরি সেভিয়ার হয়ে টানা তিনবার ইউরোপা জিতেছেন ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত। আর্সেনালকে রানার্স আপ বানিয়েছেন ২০১৮-১৯ মৌসুমে। তারপর এবার আবার ভিয়ারিয়ালকে এনে দিলেন শিরোপা। তাঁকে এখন ‘ইউরোপা লিগ বিশেষজ্ঞ’ বলাই যায়।
পোল্যান্ডের গদানস্কে ফাইনালের ২৯ মিনিটে গোল করে ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে দেন জেরার্ড মোরেনো। ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার এ মৌসুমে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৩০ গোল করলেন ভিয়ারিয়ালের জার্সিতে। ২০১০-১১ মৌসুমে জিউসেপ্পে রসির পর এই প্রথম ভিয়ারিয়ালের কোনো খেলোয়াড় মৌসুমে ৩০ গোল করলেন। ওই মৌসুমে রসি করেছিলেন ৩২ গোল।
এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ভিয়ারিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ধার হারায়। এই সুযোগে ৫৫ মিনিটে গোল শোধ করেন এদিনসন কাভানি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্নার পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। মার্কাস রাশফোর্ডের পায়ে বল চলে যায়। তাঁর শট বক্সের জটলার মধ্যে দিক পরিবর্তন করে চলে আসে কাভানির পায়ে। ইউনাইটেডের জার্সিতে সর্বশেষ ১১ ম্যাচে এ নিয়ে ১০ নম্বর গোল করলেন কাভানি।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়। কিন্তু সেখানেও দুই দল গোল করার চেয়ে গোল না খাওয়ার দিকেই বেশি মনযোগ ছিল। ফলাফল, ওই সমতা নিয়েই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপা লিগের ফাইনাল টাইব্রেকারে গড়াল। ওই মৌসুমেও উনাই এমেরির তখনকার দল সেভিয়া টাইব্রেকারে বেনফিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়েছে দেখেই বোধহয় টাইব্রেকারটা স্নায়ুর পরীক্ষা নিল এমনকি ফুটবলপ্রেমীদেরও। ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে, সমানে সমান’ অবস্থা সেখানেও। একে একে দুই দলেরই ১০ জন করে খেলোয়াড় স্পট কিক নিলেন এবং গোল করলেন।
শট নেওয়ার বাকি তখন শুধু দুই দলের দুই গোলকিপার। ১১ নম্বর শটে ভিয়ারিয়াল গোলকিপার গেরোনিমো রুল্লি গোল করলেও ব্যর্থ হলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া। ভিয়ারিয়েল খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস তখন দেখে কে!