জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করলো বেঙ্গালুরুর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ১০ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বল হাতে ধসিয়ে দিলেন প্রথম হার্শাল প্যাটেল। ব্যাট হাতে নড়বড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিলেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত এবিডি ভিলিয়ার্স। দুজনের ব্যাট-বলের নৈপুণ্যে দারুণ জয় দিয়ে আইপিএল মিশন শুরু করতে পেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
গতকাল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাতে চেন্নাইয়ে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে শিরোপধারী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে কোহলির বেঙ্গালুরু।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৯ রান করে মুম্বাই। জবাবে জয়ের জন্য শেষ বল খেলতে হয়েছে বেঙ্গালুরুকে, ১৬০/৮।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই জুয়া খেলে বেঙ্গালুরু টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওপেনিংয়ে বিরাট কোহলির সাথে নামেন স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। খুব একটা সফল হয়নি এই সিদ্ধান্ত। ১৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন সুন্দর।
টিকতে পারেননি ওয়ান ডাউনে নামা রজত পতিদারও। বোল্টের বলে বোল্ড তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে সাহস যোগান কোহলি ও হার্ড হিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৯৮ রান অবধি।
বুমরাহর বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন কোহলি। ২৯ বলে চার চারে তিনি করেরন ৩৩ রান। একটু দেশেখুনে খেলা ম্যাক্সওয়েল রূদ্ররুপ ধারণ করার আগেই নেন বিদায়। জানসেনের বলে লিওনের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি করেন ২৮ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৯ রান।
কোহলি-ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ের পর দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। ব্যক্তিগত এক রানে সাজঘরে ফিরে দলের উপর চাপ বাড়িয়ে দেন শাহবাজ আহমেদ ও ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। তবে ক্রিজের অন্য পাশে জয়ের আশা জাগাতে থাকেন প্রোটিয়া তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে, প্রবাদ বাক্যের মতো হাঁকাতে থাকেন চার ছক্কা। ভিলিয়ার্সের সঙ্গী তখন জেমিসন।
শেষ তিন ওভারে বেঙ্গালুরুর জয়ের জন্য দরকার ৩৬। কিউই পেসার বোল্টের ১৮তম ওভারেই ভিলিয়ার্স হাঁকান এক চার ও এক ছক্কা। সব মিলিয়ে আসে ১৫ রান। ১২ বলে দরকার তখন ১৯ রান। বুমরাহর ১৯তম ওভারের প্রথম চার বলে ভিলিয়ার্স তোলেন ১১ রান (দুটি চার)। পঞ্চম বলে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট জেমিসন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৭ রান। বল করতে আসেন মুম্বাইর প্রোটিয়া পেসার জানসেন। প্রথম তিন বলে আসে চার রান। চতুর্থ বলে দুই রান নিতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক রান আউট ডি ভিলিয়ার্স। ২৭ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া কিংবদন্তী।
দুই বলে দরকার দুই রান। পঞ্চম বলে সিরাজের লেগ বাই। আসে এক রান। স্কোর লেভেল। এক বলে দরকার তখন এক রান। বল হাতে প্রতিপক্ষকে ধ্বসিয়ে দেয়া হার্শালের ব্যাট থেকেই আসে জয়সূচক রান। দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইয়ের হয়ে রান করেছেন বলতে গেলে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে দেখা মেলেনি একটি ফিফটিরও। ফিফটির খুব কাছে গিয়েও এক রানের আফসোসে পুড়েছেন ওপেনার ক্রিস লিওন। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে তিনি ফেরেন ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। ৩৫ বলের ইনিংসে লিওন হাঁকান চারটি চার ও তিনটি ছক্কা।
আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা প্রথম ম্যাচে করেছেন হতাশ। ১৫ বলে এক চার ও ছক্কায় ১৯ রানে তিনি হন রান আউট। ২৩ বলে ৩১ রান করেন ওয়ান ডাউনে নামা সুরিয়া কুমার যাদব। তিনি হাঁকান চারটি চার ও একটি ছক্কা। ইশান কিষান করেন ১৯ বলে ২৮ রান।
অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া নিজের খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি। ১০ বলে ১৩ রান করে তিনি হার্শাল প্যাটেলের শিকার। পরের সবাইকে অবশ্য নাজেহাল করেছেন পেসার হার্শাই। তিনি একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ৪ ওভারে দেন ২৭ রান।
ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড ৯ বলে করেন ৭ রান। হিটার ক্রুনাল পান্ডিয়ার রানও সাত। মার্কো জেনসন ও রাহুল চাহারতো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বিশ ওভারে মুম্বাইর রান ৯ উইকেটে ১৫৯।
বেঙ্গালুরুর হয়ে বল করেছেন সাতজন। এর মধ্যে চারজন পাননি উইকেটের দেখা। জেমিসন ও সুন্দর নেন একটি করে উইকেট।