বাবর-ইমামের জোড়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক জয়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ১ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সিরিজে টিকে থাকতে এ ম্যাচটা জিততেই হতো পাকিস্তানকে। ওদিকে লক্ষ্যটাও পাহাড়সম। পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৪৮ রান করে থেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফখর জামানের অর্ধশতকের পর ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমের শতকে পাকিস্তান সেই পাহাড় টপকাল ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখে। ৩ ম্যাচ সিরিজে আনল ১-১ ব্যবধানে সমতা।
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে ৩২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান, ওয়ানডেতে তাদের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল সেটিই। লাহোরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই রেকর্ড নতুন করে গড়ল পাকিস্তান।
আগের ম্যাচেও টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল পাকিস্তান। তবে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩১৪ রানের লক্ষ্যে তারা থেমেছিল ২২৫ রানেই। বেন ম্যাকডারমটের শতকের সঙ্গে ট্রাভিস হেড, মারনাস লাবুশেন, মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া এবার গড়েছিল আরও বড় স্কোর। তবে এবার ইমাম-বাবররা টপকে গেলেন সেটি।
পাকিস্তানকে দারুণ এক ভিত এনে দিয়েছিল ইমাম-ফখরের উদ্বোধনী জুটিই। ১৯তম ওভারে ৬৪ বলে ৬৭ রান করে ফখর স্টয়নিসের বলে বোল্ড হলে ভাঙে সে জুটি। তবে পাকিস্তানের রানের গতিতে ছেদ পড়েনি তাতে। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও ইমাম মিলে তুলেছেন ৯২ বলে ১১১ রান। টানা দ্বিতীয় শতকের পর ৯৭ বলে ১০৬ রান করে ফেরেন ইমাম, যিনি অর্ধশতক করেছিলেন ৫০ বলে।
বাবর শুরুতে একটু চুপচাপই ছিলেন। মুখোমুখি ২০তম বলে মারেন প্রথম বাউন্ডারি। এরপর অবশ্য পসরা সাজিয়েছিলেন দারুণ সব শটের। ৪২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন, ক্যারিয়ারের ১৫তম শতকটি পান মাত্র ৭৩ বলে। নাথান এলিসের বলে মিসটাইমিংয়ে ক্যাচ তোলার আগে করেন ৮৩ বলে ১১৪ রান। বাবরের পর থিতু হওয়া রিজওয়ানও ফিরলে অবশ্য নতুন মোড় নেয় ম্যাচ। তখনো পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৩১ রান। তবে খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদের অবিচ্ছিন্ন জুটি কাজ শেষ করে আসে ভালোভাবেই।
এর আগে বেন ম্যাকডারমটের ১০৮ বলে ১০৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে হেডের ৭০ বলে ৮৯, মারনাস লাবুশেনের ৪৯ বলে ৫৯, মার্কাস স্টয়নিসের ৩৩ বলে ৪৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য তৃতীয় বলেই অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়েছিলেন এ ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা শাহিন শাহ আফ্রিদি, তবে দ্বিতীয় উইকেটে হেড-ম্যাকডারমটের ১৪৪ বলে ১৬২ রানের জুটিতে আবারও বড় সংগ্রহের ভিত পায় অস্ট্রেলিয়া।
১১ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় শতক হাতছাড়া করেছেন হেড, আর আগের ম্যাচে প্রথম অর্ধশতক পাওয়া ম্যাকডারমট কাল পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। মাঝে অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্যামেরন গ্রিন দ্রুত ফিরলেও শেষ দিকে শন অ্যাবটের ১৬ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে অস্ট্রেলিয়া ওঠে রান পাহাড়ে।
কিন্তু বাবর ও ইমাম, পাকিস্তান তো ভেবেছিল ভিন্ন কিছু।