পাকিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ১৬ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৬৮। আপাতদৃষ্টিতে খুব বড় লক্ষ্য নয়। কিন্তু এ লক্ষ্য পেরিয়ে যেতেই ৯ উইকেট হারাতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ পর্যন্ত কিংস্টন টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা পেয়েছে ১ উইকেটের জয়।
বাবর আজম আর ফাহিম আশরাফ মিলে ১৭০ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েছিলেন। মোটামুটি ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল এ জুটি। কিন্তু চতুর্থ দিনের শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান। তৃতীয় দিন শেষে সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬০ থেকে চতুর্থ দিনের শুরুতেই পাকিস্তান পরিণত হয় ৮ উইকেটে ১৮০–তে।
দিনের শুরুতেই কেমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে জশুয়া ডা সিলভার ক্যাচ হন ফাহিম। এরপর বাবর আজমকে ৫৪ রানে কাইল মায়ার্স, জেসন হোল্ডারের ক্যাচে। এর পরের সময়টা কেবলই জেইডন সিলসের। পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ তিনটি উইকেট (ইয়াসির শাহ, হাসান আলী আর শাহীন শাহ আফ্রিদি) তুলে নেন তিনি। সিলস আগের দিনও নিয়েছিলেন আবিদ আলী আর ফাওয়াদ আলমের।
৫ উইকেট নিয়ে সিলস একটা রেকর্ডও গড়েছেন। তিনি ক্যারিবীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিলেন। ১৯ বছর ৩৪০ দিন বয়সে এ কীর্তি গড়ে তিনি ভেঙেছেন অ্যালফ ভ্যালেন্টাইনের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংয়ে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ২০৩ রানে। ১৬৭ রানে এগিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের লক্ষ্য পায় ১৬৮।
পাকিস্তানের বোলিং–আক্রমণও ফেলনা নয়। সেই অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তান লড়াইটাও করেছে দারুণ। চা বিরতির আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাহীন আফ্রিদি ফেরান কাইরন পাওয়েল, ক্রেইগ ব্রাফেট আর এনক্রুমা বোনারকে।
এরপর অবশ্য জার্মেইন ব্ল্যাকউড আর রোস্টন চেজ জুটি গড়েন ৬৮ রানের। এ জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। চেজকে ফেরান তিনি। ফাহিম ফেরান কাইল মায়ার্সকেও। ৫৫ রানে আউট হন ব্ল্যাকউড। জেসন হোল্ডারও আশা দেখাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। হাসান আলীর বলে ১৬ রানে আউট হন তিনি। ১১৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন তাকিয়ে জশুয়া ডা সিলভার দিকে। কিন্তু তিনিও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ড সিলভা যখন আউট হন, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪২।
জোমেল ওয়ারিক্যান এরপর করেন ৬। তিনিও শাহীন আফ্রিদির শিকার। দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান ‘বোলার’ কেমার রোচ। ৫২ বলে ৩০ রান করেন তিনি। রোচ শেষ লড়াইটা করেন সিলসকে সঙ্গে নিয়ে। তবে এই রোচের ক্যাচই যদি হাসান আলী ধরতে পারতেন, তাহলে হিসবে পাকিস্তানের দিকেই থাকত। সেটি হয়নি। ভাগ্য জয় করে দাঁতে দাঁত কামড়ে শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের দারুণ এক জয় এনে দেন রোচই।