ব্রাজিলে বিপর্যয়, একদিনে করোনায় মৃত্যু ১৬৪১
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ৩ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ব্রাজিলে বিপর্যয়। সারি সারি লাশ। স্থান সংকুলান হচ্ছে না। গণহারে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে। তাতে সমাহিত করা হবে। দেশটিতে এমন ভয়াবহ দৃশ্য নতুন নয়। কিন্তু নতুন করে সেখানে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২ মার্চ) করোনায় একদিনে সেখানে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছেন।
তাদের সমাহিত করতে খোঁড়া হচ্ছিল নতুন নতুন গর্ত। মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৬৪১। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। তখন একদিনে মারা গিয়েছিলেন সর্বোচ্চ ১৫৯৫ জন। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান। সেই অস্থিরতা স্বাস্থ্য সঙ্কটকে নিচে ফেলেছে। বিঘ্ন ঘটছে টিকাদান কর্মসূচি।
এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, এ যাবত করোনা ভাইরাসে শুধু ব্রাজিলে মারা গেছেন কমপক্ষে দুই লাখ ৫৭ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যার দিক দিয়ে এ দেশটি দ্বিতীয় অবস্থানে। করোনা মহামারিতে দেশটির হাসপাতাল ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
রাজ্যগুলোর গভর্নররা এখন যৌথভাবে একত্রিত হয়ে টিকা কিনছেন। এক্ষেত্রে তারা ফেডারেল সরকারকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, ফেডারেল সরকার টিকাদান কর্মসূচি ধীরগতির করেছে। ভয়াবহ এই রোগের বিরুদ্ধে দেশটি তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন শহর ও রাজ্য এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ এবং মুখে মাস্ক পরার কারণে উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো নেতিবাচক অবস্থানে। গত সপ্তাহে তিনি মুখে মাস্ক পরা বন্ধ করেছেন। বলেছেন, মুখে মাস্ক পরলে মাথাব্যথা হতে পারে। এতে শান্তি নষ্ট হয়। যেসব শহর বা রাজ্য লকডাউনের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি তহবিল কর্তনের হুমকি দিয়েছেন।
দেশটিতে বসবাস করেন ২১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি ৬ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু মঙ্গলবারে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৯২৫ জন। বেশ কিছু শহর ও রাজ্য গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কারণ, হাসপাতালগুলো আর রোগীর ভার সইতে পারছে না।
রিও ডি জেনিরো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মনিকা ইয়ানাকিউ বলছেন, মেয়র এবং গভর্নররা চরম মাত্রায় উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু শহর ও রাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে বিরোধে জড়িয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। শুরু থেকেই এই সমস্যা বিরাজমান।