নেদারল্যান্ডসে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে বিস্ফোরণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ৩ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১১ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
লকডাউন নিয়ে তীব্র ক্ষোভের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের করোনা পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ওই সেন্টারের জানালাগুলো উড়ে গেছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে বোভেনকারস্পেলে।
পুলিশের ভাষ্য, ধাতব কিছু একটা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে সারাদেশে কারফিউ দেয়াকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ আগে এ দেশটির বড় বড় শহরে দাঙ্গা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র মেন্নো হার্টেনবার্গ বলেছেন, সকাল ৭টার সামান্য আগে এই বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনায় এমনটা ঘটেছে বলে মনে হয় না।
সেন্টারটির বাইরে কোথাও বিস্ফোরক পেতে রাখা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। তবে কি বিস্ফোরিত হয়েছে তা এখনই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রথমেই তদন্ত করে তবেই এ তথ্য বের করতে হবে। বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হননি। ঘটনা তদন্তে ওই সেন্টার ঘিরে রেখেছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।
এ নিয়ে দেশটিতে করোনা পরীক্ষার কমপক্ষে দুটি সেন্টার বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হলো। এর আগে মধ্য জানুয়ারিতে দাঙ্গার সময় উর্ক গ্রামে একটি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ২৫ শে জানুয়ারি রাতের ওই দাঙ্গা ছিল ভয়াবহ। যানবাহনে আগুন, ইটপাথর নিক্ষেপ এবং ব্যাপক লুটপাত হয়।
এতে জড়িত থাকার দায়ে কমপক্ষে ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আস্তে আস্তে ওই ঘটনা ঠান্ডা হয়ে এলেও লকডাউন নিয়ে ক্ষোভ অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার বার মালিকরা এবং দেহপসারিণীরা বিক্ষোভ করেন। বৈধভাবে দেহব্যবসা করলেও যৌনকর্মীরা এখনও আতঙ্কে যে, তাদেরকে এখনও করোনা ভাইরাস মহামারির অজুহাতে পেশাগত কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে হেয়ারড্রেসার এবং বিউটি সেলুনকে আজ বুধবার থেকে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ কারণে যৌনকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার হেগে অবস্থিত ডাচ পার্লামেন্টের বাইরে সমবেত হন যৌনকর্মীরা। তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা।
একজন বলেছেন, লোকজনকে একজন হেয়ারড্রেসারের কাছে বা একজন ম্যাসাজ থেরাপিস্টের কাছে যেতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যৌনকর্মীর কাছে কেউ যেতে পারবে না, একজন যৌনকর্মীর সঙ্গে কেউ মিশতে পারবে না। এটা হতে পারে না।