

ছাত্রদলের সমাবেশে হাবিব উন নবী সোহেল ও ফজলুর রহমান খোকনের উপর পুলিশি হামলার নিন্দা, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৯ এএম, ৫ জুন,সোমবার,২০২৩

মহান স্বাধীনতার ঘোষক জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের অপ-রাজনীতি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এর নামে মিথ্যা মামলায় সাজা এবং সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ছাত্রদলের সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের উপর পুলিশের নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ।
সিডনি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবাদ প্রধানকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক আহবায়ক মো.দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি মনিরুল হক জর্জ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী স্বপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব লুৎফুল কবির, আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ, আবুল হাসান, মোবারক হোসেন, একেএম ফজলুল হক শফিক, তারেক উল ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত সবুজ, হাবিব রহমান, একেএম মাহবুব তালুকদার রিপন, সেলিম লিয়াকত, খাইরুল কবির পিন্টু, আবুল কালাম আজাদ, এস এম খালেদ, মৌহাইমেন খান মিশু, শেখ সাইফ, মোতাহের হোসেন, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু, আব্দুল করিম, নূর মোহাম্মদ মাসুম, মোহাম্মদ কুর্দি, শফিকুল ইসলাম রিপন, মোহাম্মদ জসিম সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের উপর পুলিশি হামলার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান এবং বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাই নয় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক, একজন সেক্টর কমান্ডার, জেট ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সেনা প্রধান এবং বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের বহুদলীয় গনতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মাত্র চার বছরে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন। শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা পাহাড় সমান।
জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম সহ অসংখ্য নাম তারা পরিবর্তন করেছে। ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতার মহান ঘোষক থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র করে ব্যার্থ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগন বর্তমান সরকারের এই সমস্ত কার্যক্রম ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন।
স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাককালে স্বাধীনতার সূর্ষ সৈনিকদের সাথে এই প্রহসন ও তামাশা বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
সম্প্রতি আল-জাজিরায় বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধ চক্রের রিপোর্ট প্রকাশের পর জনরোষের কবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য ও ঘটানা প্রবাহ অন্য খাতে নেয়ার জন্য আরো একটা নতুন ইস্যু তৈরি করার পায়তারা করছে।
এই মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে যত ষড়য়ন্ত্রই করুক জনগন তা রুখে দিবে। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হাসিনা সরকারকে আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত থাকার কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। রাষ্ট্রচালাতে ব্যার্থ এই মাফিয়া সরকারের পদত্যাগ দাবী করেছেন তারা।
অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহবান করেছেন। সরকার শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে দেশে ও বহিঃবিশ্বে একযোগে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।