আইনে সংশোধন ও সমঝোতা, অস্ট্রেলিয়ায় সচল হচ্ছে ফেসবুক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৮ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গুগল, ইউটিউব ও ফেসবুকের কাছ থেকে আয় ভাগাভাগি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া নিম্নকক্ষে যে আইন পাস করেছিল, সেটায় ক্যানবেরা থেকে সংশোধন প্রস্তাব করার পর সংবাদ কন্টেন্ট দেখা এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলো আবার চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারার জোশ ফ্রাইডেনবার্গ।
গণমাধ্যমের কনটেন্ট থেকে গুগল, ইউটিউব ও ফেসবুক যে আয় করছে, তা সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে ভাগাভাগি বাধ্যতামূলক করে নিম্নকক্ষে আইন পাস করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ফেসবুক বিষয়টি মেনে নেয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর দেখা ও শেয়ারের সুযোগ বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং জরুরি বিভাগের অ্যাকাউন্টগুলোও বন্ধ করে দেয় ফেসবুক। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এগুলো বন্ধ রয়েছে। খবর রয়টার্সের
এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার জনসাধারণ থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ক্ষোভ প্রকাশ শুরু হয়। এরপর ফ্রাইডেনবার্গ ও ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেই আলোচনায়ই একটি ছাড়ের চুক্তি হয়।
ফেসবুকের সঙ্গে সালিশি করার মূল প্রস্তাবসহ আইনটিতে চারটি সংশোধনী দেবে অস্ট্রেলিয়া। আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই ফেসবুক তার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফেসবুকের একজন নির্বাহী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার এ সিদ্ধান্ত ফেসবুকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
একটি বিবৃতিতে ফেসবুক জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের বেশ কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাবে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি, সংবাদপত্র প্রকাশকদের সঙ্গে আয় ভাগাভাগি নিয়ে আমাদের প্ল্যাটফর্মকে মূল্যায়ন করে যে বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে, তা আমাদের মূল উদ্বেগের সমাধান করবে।
এদিকে একই আইন করার জন্য ভাবছে যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশ। বলা হচ্ছে, কতগুলো দেশ একে জাতীয় আইন করা যায় কিনা বিবেচনা করে অস্ট্রেলিয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে গণমাধ্যমগুলোও বিষয়টি গভীর নজরে রেখেছে।
তবে আইনটিতে কী ধরনের সংশোধন আসছে, তা নিয়ে আইনটির মূল প্রস্তুতকারী অস্ট্রেলিয়ার কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজ্যুমার কমিশনের চেয়ারম্যান রড সিমস তাৎক্ষণিকভাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।