মস্কোতে বৃহত্তম ড্রোন হামলা ইউক্রেনের, ঘুরিয়ে দেওয়া হলো ৩৬ ফ্লাইট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:২৯ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রোববার মস্কোর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে অন্তত ৩৪টি ড্রোন ছুড়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার মস্কোতে ৩৪টি ড্রোন ছুড়েছে ইউক্রেন; যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত রাশিয়ার রাজধানীতে ইউক্রেনের চালানো বৃহত্তম হামলা। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এই হামলার কারণে মস্কোমুখী বিমানের কয়েক ডজন ফ্লাইট আশপাশের তিনটি শহরে অবতরণে বাধ্য হয়েছে। হামলায় কোনও প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, একই দিনে পশ্চিম রাশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও অন্তত ৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে বিমান-ধাঁচের ড্রোন ব্যবহার করে কিয়েভের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা বলেছে, রোববার কিছু সময়ের জন্য ডোমোদেডোভো, শেরেমেতিয়েভো এবং ঝুকভস্কির বিমানবন্দরগুলো থেকে কমপক্ষে ৩৬টি ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এসব বিমানবন্দরে বিমানের উড্ডয়ন-অবতরণ কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। মস্কো অঞ্চলে একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির রাজধানী মস্কো ও এর আশপাশের অঞ্চলে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে। ইস্তাম্বুলের পাশাপাশি ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ মেট্রোপলিটন শহর হিসেবে মনে করা হয় মস্কোকে।
এদিকে, ইউক্রেন বলেছে, রোববার রাতভর ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রেকর্ড ১৪৫টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। তবে কিয়েভ বলেছে, এর মধ্যে কমপক্ষে ৬২টি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী।
রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি অস্ত্রাগারে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। ওই অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মস্কোর আকাশজুড়ে ড্রোন উড়ছে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিনকাল/এমএইচআর