যুক্তরাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ৫ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:০৪ এএম, ৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভোটকেন্দ্রে মার্কিন ভোটাররা। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে এসেছে। এ সময়ে তারা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ে ভোট দিচ্ছেন। কঠিন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প।
নির্বাচনে বড় ইস্যু অভিবাসন, গর্ভপাত, খাদ্য ও বাসাবাড়ির খরচ বৃদ্ধি। এই নির্বাচনে কে জয়ী হবেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
এরই মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এক্সে বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিন এসে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ আকাশছোঁয়া। কারণ, জনগণ আমেরিকাকে আবারও মহান বানাতে চায়। এর অর্থ হলো (ভোটের) লাইন দীর্ঘ হবে! যত দেরিই হোক আপনারা ভোট দেবেন। র্যাডিকেল কমিউনিস্ট ডেমোক্রেটরা চায় আপনাদেরকে প্যাকআপ করে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে। সম্মিলিতভাবে আমরা একটি চমৎকার বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছি। মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।
অন্যদিকে ভোটারদের প্রতি দরজায় দরজায় নক করার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। তিনিও এক্সে লিখেছেন- বন্ধু ও পরিবারগুলোর কাছে যান। সবাই মিলে আমরা পরবর্তী ইতিহাস রচনা করবো। সেটা হবে মহান এক কাহিনী। এই নির্বাচনে কমালা হ্যারিস গর্ভপাতের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খাদ্য ও বাড়িঘরের মূল্য কর্মজীবী পরিবারগুলোর জন্য কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে অভিবাসন বিরোধী অবস্থানে অটল আছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সীমান্তকে সিল করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স কর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই নির্বাচনে মার্কিনিরা শুধু প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিচ্ছেন এমন না। একই সঙ্গে তারা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করছেন। কোনো কোনো রাজ্যে গর্ভপাতের অধিকার প্রশ্নেও ভোট হচ্ছে। নির্বাচনের আগেই আগাম ভোট দিয়েছেন কমপক্ষে ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
দিনকাল/এসএস