ইসরায়েলে হামলা চালানোর নির্দেশ খামেনির
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:২১ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরানকে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই আদেশ দেন খামেনি। যদিও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল মার্কিন নির্বাচনের আগে ইরান প্রতিশোধমূলক এই হামলা চালাবে না। তবে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম বলেছে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই হতে পারে হামলা।
ইরান ও হামাস ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, সে বিষয়ে স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ইহুদি রাষ্ট্রটি।
এদিকে এ ঘটনার জের ধরে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। এতে ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও ইরান প্রথমে দাবি করেছিল, ইসরায়েলি হামলায় তাদের খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পরবর্তীতে হামলার তীব্রতা পর্যবেক্ষণ ও চার সেনার মৃত্যুর পর আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বলেন, ইসরায়েলকে এই হামলার জবাব দিতে হবে। নয়ত তারা ‘পরাজিত’ হিসেবে অভিহিত হবেন।
অনিবার্য এই হামলা নিয়ে এরইমধ্যে ইসরায়েলজুড়ে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। ইরানের সম্ভাব্য হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে নেতানিয়াহুর জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ তেল আবিবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা দপ্তর। এছাড়াও সরকারি ও সামরিক বাহিনীর অন্য স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলোও রয়েছে ইরানের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে। টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, সোমবার সকালেই নেতানিয়াহুকে মাটির নিচের বাঙ্কারে সরিয়ে নেয়া হয়।
এছাড়া ইসরায়েলের চ্যানেল থার্টিন জানিয়েছে- রোববারই ইসরায়েলে হামলার জন্য মিসাইল প্রস্তুত করে ফেলেছে ইরান। এখন শুধু আয়াতুল্লাহ খামেনির চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষা।