মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, দিকে দিকে নিন্দার ঝড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:০৯ এএম, ২ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪২ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
আজ সোমবার মিয়ানমার সেনাবাহিনী সে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। এছাড়া অং সান সুচিসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে। জানা গেছে, এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি রেখে নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। এরই মধ্যে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘ থেকে শুরু করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে।
অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত জানিয়েছে, তারা খুবই নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি জে ব্লিনকেন মিয়ানমারের সেনাদের শিগগিরই নিজেদের কর্মকান্ড পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ব্লিনকেন বলেছেন, সরকারি সকল কর্মকর্তা ও নেতাদের মুক্তি দিক মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও মনে করেন তিনি। এজন্য মিয়ানমারের জনগণের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী অং সান সুচি এবং প্রেসিডেন্টকে আটক করেছে। এসব সংবাদ গভীর উদ্বেগের। সেনাবাহিনীকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং আইনের মাধ্যমে বিরোধ মেটাতেও বলেছেন তিনি।
মিয়ানমারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের মন্ত্রী পরিষদের মুখ্য সচিব কাটসুনোবু কাটো।
জাপান সরকারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধান করতে হবে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে।
কাটসুনোবু কাটো বলেছেন, সে দেশের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিষয় যাচাই করে দেখছে আমাদের সরকার। মিয়ানমারের রাস্তায় এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, সে দেশে থাকা জাপানিদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের কাজ করবো।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ও শীর্ষ নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব ঘটনাকে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে মারাত্মক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাস।
অন্যদিকে সুচিসহ আটক নেতাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সূত্র : আল-জাজিরা