মিয়ানমারের রাজধানী ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে সেনাবাহিনীর টহল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫০ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আজ সোমবার দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। একই সাথে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে একজন জেনারেলকে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী নিপিড ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
দেশটির প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে ও তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথান হেড জানিয়েছেন, যদিও গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনী সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে। তার পরও এটাকে পুরো মাত্রায় সামরিক অভ্যুত্থান বলেই মনে হচ্ছে। এক দশকেরও বেশি সময় আগে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল।
বিবিসির এ সংবাদদাতা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে তারা। কিন্তু সু চির মতো রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার ঘটনা উস্কানিমূলক ও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পদক্ষেপ তীব্র বাঁধার মুখে পড়বে।
সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
এনএলডি মুখপাত্র মিও নয়েন্ট রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানায়, প্রেসিডেন্ট মিন্ট ও অন্যান্য নেতাদের ভোরেই আটক করা হয়।
তিনি রয়টার্সকে আরো বলেন, ‘আমি জনগণকে বেপরোয়া কিছু না করার অনুরোধ করছি, আমি চাই তারা আইন মেনে চলবে।’
গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩% আসন পায়। যাতে সু চির বেসামরিক সরকারের প্রতি সর্বসাধারণের অনুমোদন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয়বার নির্বাচন ছিল মাত্র। তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফলকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা সুপ্রিমকোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ইলেক্টোরাল কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
সম্প্রতি সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।