১। আলী রীয়াজ ২। রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর
বাইডেন প্রশাসন দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে কি ভাবছে তা দেখার বিষয় বিশিষ্টজনের অভিমত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ৩১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের আমলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে- তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার পর এখন এসব কার্যক্রম লক্ষ্য করার সময় এসেছে। চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল সায়েন্সের প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সমন্বয় বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর সম্প্রতি এই টিভি আলোচনায় মিলিত হয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। এতে তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিভিন্নমুখী স্বার্থ রয়েছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে পাশে রাখছে। চীন তার পাশে রাখছে পাকিস্তানকে। চীন তার পাশে রাখছে নেপালকেও। ভারত তার পাশে রাখছে বাংলাদেশকে।
রাজনীতি একটি চলমান বিষয়। বছর বা দশক ভেদে তা পরিবর্তিত হয়। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। যুদ্ধে সহযোগিতা দিয়েছে- এর পেছনে অবশ্য তার সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা ছিল, স্বার্থও ছিল।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলো। ধীরে ধীরে বিশ্বে প্রায় সকল দেশই স্বীকৃতি দিয়েছে। কোনো দেশ আগে কোনো দেশ পরে। বাংলাদেশ সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের ঘোষণা দেয়। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।
তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছে পরে সে ধারা বজায় রাখেনি। পানির সমস্যা মেটাতে এগিয়ে আসেনি। বরং গঙ্গার পানি প্রবাহ আটকে রেখে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করার দিকেই এগিয়েছে। তিস্তার পানিও দিচ্ছে না।
চীন জোর দিচ্ছে অর্থনৈতিক বিষয়ে-আলী রীয়াজ : চ্যানেল আই স্যাটেলাইট টিভির তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, চীন বরাবরই অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপরই জোর দেয়। বাংলাদেশকে চীন সেভাবেই চাইছে।
বাইডেন প্রশাসন যে ধারায় চলবে : অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, বাইডেন তার রংধনু কোয়ালিশন নিয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রশাসন তো সে ধারায় চলবে। সে দেশের ভেতরে হোক আর বাইরে হোক।