যত দিন দরকার ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে জি-৭
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ১২ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১১ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
যত দিন দরকার ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-এর নেতারা। খবর বিবিসির
ইউক্রেনে গত সোমবার রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার এক জরুরি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে জি-৭-এর নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে জোটের নেতারা বলেন, তাঁরা ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও যত দিন প্রয়োজন, তত দিন ইউক্রেনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী ক্রিমিয়ার কার্চ সেতুতে গত শনিবার বিস্ফোরণ হয়। এ বিস্ফোরণের জেরে সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে ৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হন। আহত হন বহু লোক। গতকালও ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউক্রেন।
কার্চ সেতুতে ‘হামলার’ জবাবে ইউক্রেনে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেতুতে হামলার জন্য তিনি ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও জাপানকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোট গতকাল ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আর্থিক, মানবিক, সামরিক, কূটনৈতিক ও আইনি সমর্থন অব্যাহত রাখব। যত দিন প্রয়োজন, আমরা ইউক্রেনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানিয়ে যাব।’
নিজেদের মতো করে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ক্রেমলিনের পদক্ষেপেরও নিন্দা জানিয়েছে জি-৭।
জোটের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে অংশ নিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সামর্থ্য বাড়াতে জি-৭ নেতাদের সহায়তা চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এ ছাড়া ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে একটি আন্তর্জাতিক মিশনের প্রতি সমর্থন দিতেও জেলেনস্কি জোটের প্রতি আহ্বান জানান।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত বেলারুশের বর্তমান নেতা আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো। তিনি ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে একমত হয়েছেন। লুকাশেঙ্কো বলছেন, কিয়েভের দিক থেকে আসা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক জোটটির প্রধান বলেন, ন্যাটোর আরও অস্ত্র উৎপাদন দরকার। কারণ, যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের সরবরাহ কমে গেছে। এ নিয়ে সদস্যদেশ ও প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো।