বিস্ফোরণের পর আংশিক সচল ক্রিমিয়া সেতু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ৯ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করা একমাত্র সেতুটিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বিকট বিস্ফোরণে সেতুটির সড়কপথের কিছু অংশ ধসে যায়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ রোববার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জন নিহত হয়েছেন। সেতুটিকে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ ঘটনায় বিস্ফোরণের সময় একটি গাড়িতে থাকা তিন আরোহী নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। ব্রিজে তাদের গাড়ির পাশেই একটি লরিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের চার বছর পর ২০১৮ সালে কের্চ প্রণালীর ওপর এই সেতুটির উদ্বোধন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও টুইট করে। এতে দেখা যায়, সেতুটি ব্যবহার করে যানবাহন চলাচল করছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে এটি মস্কোর প্রধান সরবরাহ রুট। বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। তবে দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক টুইটে লিখেছেন, ‘ক্রিমিয়া, সেই সেতু, সূচনামাত্র। অবৈধ সবকিছুই ধ্বংস হবে। চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফেরত আসবে। সব দখলদারকে তাড়ানো হবে।’
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে এপ্রিলে ডুবে যাওয়া রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত যুদ্ধজাহাজ মস্কোভার সঙ্গে তুলনা করেছে। এক টুইটে তারা বলেছে, ‘ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় রুশ শক্তিমত্তার দুটি কুখ্যাত প্রতীকের পতন হয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের বিষয়ে কিয়েভ সরকারের প্রতিক্রিয়া তাদের সন্ত্রাসী স্বভাবেরই সাক্ষ্য।