শিনজো আবেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে জাপান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৩ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে জাপান।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সাতশর বেশি বিদেশি অতিথি পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে থাকছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্থনি আলবানিজ, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন ফুক, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সো, ফিলিপিন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তে-কার্পিও, ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ আমিন এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলেরও এ অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে।
বিদেশি অতিথিদের অনেকের সঙ্গেই সোম ও মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেসব বৈঠকের ছবিও টুইটারে প্রকাশ করেছে তার কার্যালয়।
টোকিওর কেন্দ্রস্থলে খেলাধুলা ও কনসার্টের জন্য খুবই পরিচিত নিপ্পন বুদোকানে হতে যাওয়া আবের শেষকৃত্যে সবমিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ অতিথি থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে, তবে বাইরে কিছু নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে সকাল ১০টা থেকেই জনসাধারণ ফুল ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে আবের প্রতি শ্রদ্ধায় শামিল হতে পারবে। অবশ্য নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই সেসব স্ট্যান্ডে জনসাধারণ শ্রদ্ধা জানানো শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রায় এক হাজার সেনা দায়িত্ব পালন করবে। সামরিক বাহিনীর অনার গার্ড আবেকে স্যালুট জানাতে কামান থেকে ছুড়বে ১৯টি ফাঁকা গোলা। রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নির্বিঘ্নে করতে বুদোকানের আশপাশের সব সড়ক মঙ্গলবার ভোরের আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকালে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাহিনীটির অনেক সদস্যকে জাপানের অন্যান্য অংশ থেকেও আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে দলের এক নির্বাচনী প্রচারসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় গত ৮ জুলাই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন আবে। হাতে বানানো বন্দুক দিয়ে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। বন্দুকধারী পরে জানান, বিতর্কিত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আবের মাখামাখি এবং তাদের প্রচার-প্রসারে তার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েই সাবেক জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।