লেবাননে বিক্ষোভে সংঘর্ষ : সেনা সদস্যসহ আহত ২২৬
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০২ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উত্তরে ত্রিপোলি জেলায় বিক্ষোভকারীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ অন্তত দুই শ’ ২৬ জন আহত হয়েছেন।
লেবাননে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন এবং ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
ত্রিপোলির সাহত আল নুর মহল্লায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে সরকারি ভবনে ভাঙচুরের চেষ্টা করে।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এর উত্তরে বিক্ষোভকারীরা পাথর, মলোটভ ককটেল ও আতশবাজি নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে ছোড়ে।
লেবাবনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী এক টুইটার বার্তায় জানায়, দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। এর মধ্যে দুইটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছে।
গ্রেনেড বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন আহত হয় এবং সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত বাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লেবাননের সেনাবাহিনী এক টুইট বার্তায় জানায়, ত্রিপোলিতে বিক্ষোভকারীদের হামলায় ৩১ সেনা সদস্য আহত হয়েছে। এসময় পাঁচজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
লেবানিজ রেডক্রস জানিয়েছে, ৩৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আরো ৬৭ জনকে বিক্ষোভস্থলেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানায়, ১২৪ জন আহতের মধ্যে ৩১ জনকে লেবানিজ ইমরাজেন্সি রেসপন্স ইউনিট চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।
সংঘর্ষে অন্তত দুই শ’ ২৬ জন আহত হয়েছে বলে এএনএ-এর খবরে বলা হয়।
এর আগে লেবাননের সরকার ঘোষণা করে, তারা দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কারফিউ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ বাড়াবে।
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বিক্ষোভের ঘটনায় কোনো পক্ষকেই সরাসরি দায়ী না করে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ত্রিপোলিতে এই ঘটনায় পেছনে জড়িত পক্ষ রাজনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছে। তারা জনগণের ক্ষোভ থেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছে।’
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লেবাননে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন দুই লাখ ৮৯ হাজার ৬৬০ জন। ভাইরাস সংক্রমণে দেশটিতে দুই হাজার পাঁচ শ’ ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।